welcome to skitto forum
a place for all things skitto

একটা গল্পবলি

Fahim35by: Fahim35
April 23, 2020 5:44PM
Member

ভিন্ন এক এক্টিভ ব্যাটাল ফিন্ডের কথা বলি। 
বলে রাখা ভালো, এটা টোটালি আননেসেসারি ইন্টার ভিলেজ ওয়ারফেয়ার। একজনের পায়ের সাথে অন্যজনের পা লাগায়, ফুটবলে জোরে শট দেয়ায়, পূর্ণিমার বয়স কম না বেশি, একজনের এলাকায় অন্যজন গান গাওয়ায়, চায়ের কাপে চা কম দেয়ায়, হাঁটার, তাকানোর ভঙ্গি পছন্দ না হওয়ার মত অতি তুচ্ছ কারণে যেকোন সময় দুই গ্রামের মাঝে এই যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। প্রথমে বর্ডার কনফ্লিক্টের মত ছোট আকারে সংঘর্ষ হয়। এরপর উপয় পক্ষ বিপুল পরিমান ম্যানপাওয়ার ডেপ্লয় করে। যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে তারা বিশাল ফসলি জমি কিংবা খোলা ময়দান বেছে নেয়।দূর্গ হিসেবে ব্যাবহার করে পাকা দালান। এইচ আওয়ারের পূর্ব মুহুর্তে নারী পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে হাজার হাজার লোক বর্শা, টেটা, লম্বা লাঠি, দা, কুরাল নিয়ে সমাবেত হতে থাকে। মিত্রবাহিনীর রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে আশপাশের দু চার গ্রামের মানুষও এসে যোগ দেয় দুই পক্ষে। এরপরই ইনফ্যান্ট্রি, আর্টিলারি এমনকি স্পেশাফোর্স পর্যায়ে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। প্রথম ধাপে প্রচলিত যুদ্ধের নিয়মে আর্টিলারি হামলার মত টেটা নিয়ে এবং ইট পাটকেল নিয়ে আক্রমণ করে প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ড ফাইটিং ইউনিটকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই আর্টিলারি হামলার মূল যোদ্ধা হলো গ্রামে মহিলারা ও অল্প বয়সী তরুণ।  যখনই তারা একটু পিছিয়ে ডিফেন্সিভ পজিশনে যায় তখনই ইনফ্যান্ট্রিরা মূলত লাঠি, বল্লম নিয়ে আক্রমণ জোড়ালো করে। কখনো আবার কাউন্টার এটাক হয়। এদের মাঝেই একদল আছে যারা স্পেশাল ফোর্সের ভূমিকায় থাকে। দুই পক্ষেই তাদের ভাড়া করে আনে। আধুনিক স্পেশাল ফোর্স কোম্পানি যেরকম সাধারণ সেনা কোম্পানি থেকে আকারে ছোট হয় ঠিক তেমনই এদের দলও আকারে ছোট হয়। দশ থেকে পনেরো কিংবা বিশ জনের হয়ে থাকে। এ দলের সবাই শার্প শুটার। টার্গেটে বল্লম নিক্ষেপে বিশেষ পারদর্শী। স্পেশাল ফোর্স হওয়ায় তারা মুখ বেঁধে পরিচয় গোপন রাখে এবং সুরক্ষার জন্য মোটরসাইকেলের হেলমেট পরিধান করে। তারা কখনো সামনে থেকে আক্রমণ করে আবার কখনো হিট এন্ড রান পদ্ধতিতে প্রতিপক্ষের প্রচুর ক্যাজুয়ালিটি ঘটায়। এভাবেই চলতে থাকে এটাক কাউন্টার এটাক। গ্রামের যাদের কাছে মোটরসাইকেল বা ভ্যান বা অন্যকোনো গাড়ি আছে,তারা মূলত মেডিক্যাল সার্পোট দেয়।তারা আহতদের শহরে অথবা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জাতিসংঘের ভূমিকায় পুলিশ আসে। ক্ষমতাধর দুই রাষ্ট্রের যুদ্ধে যেমন জাতিসংঘের নাক গলানো মানা এই যুদ্ধেও যেন তাই। তবুও পুলিশ বাধা দেয়। যুদ্ধে জাতিসংঘ কর্মী হতাহত হবার মতই আহত হয় পুলিশ। এরপর পুলিশের ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে যুদ্ধ বিরতির আহবান জানানো হয়। দুইদল ডিফেন্স লাইনে ফিরে যায়। পুলিশ মাইক নিয়ে সবাইকে যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করতে বলে এবং কখনো কখনো ১৪৪ ধারা জারি করে দেয়। হতাহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়, নিহতদের পুলিশ নিয়ে যায়৷ দুইপক্ষ যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করলেও উভয়পক্ষই টানা কয়েক দিন স্ট্যান্ড বাই থাকে আরো একটা এটাকের জন্য।এরপর মূলত কিছু দিন চলে গেরিলা হামলা।অমুক গ্রামের অমুক লোকের বাড়িতে হামলা করে গুড়িয়ে দেয়া হয় তার বাড়ি।নয়ত বা আগুন লাগিয়ে দেয়।তার কিছু দিন পর, যাদের কারনে এত কিছু তারা এবং ব্যাটলফিল্ডের কমাণ্ডার  আন্ডারগ্রাউন্ডে যায়।
.
এভাবেই কয়েকশো বছর ধরে চলছে ঐতিহ্যবাহী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। এটিকে বর্বর  গ্রাম্য মানুষেরা আত্মসম্মান, মর্জাদা রক্ষার খেলার দৃষ্টিতেই দেখে। স্বচক্ষে এই যুদ্ধ দেখলে মনে হবে এসব অঞ্চলে সভ্যতার ছোঁয়া লাগেনি। 

  • MD: SHAKIL MAHMUDby: MD: SHAKIL MAHMUD

    Member

    Ato boro golpo porte tw valo lage na vai
  • md:riyad khanby: md:riyad khan

    Member

    তাই
  • S SAIKATby: S SAIKAT

    Member

    Valo golpo?