-সোহাগ
করোনা এক আতঙ্কের নাম নাম ।পুরো পৃথিবী স্তব্ধ।তবে করোনায় অনেক সুঘটনা চোখে পড়েছে আমার ।তবে ভালোর চেয়ে মন্দের দিকটিই বেশি। আমিও করোনা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন।তবে যত বেশি চিন্তা করব তত মানসিক চাপ বেড়ে যাবে ।তাই একটু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার প্রয়াস করছি মাত্র। খুব সম্ভবত প্রশ্ন হতেই পারে- পুরা পৃথিবী যেখানে হাহাকার এ ব্যস্ত , সেখানে আবার সুসংবাদই বা কি? বলছি , দৃষ্টি ভঙ্গি একটু উন্মুক্ত করেই দেখেন না , অনেক অনেক কিছু চোখে পড়বে । আমি কথা বলছি সেই "বৃদ্ধ বাবা মায়ের" যারা যত্ন পাইনা এই বয়সে এসে । অথচ করোনার কারণে চাকুরী রত ছেলে ব্যস্ততা স্থির করে বাড়িতে সেই বাবা মায়ের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছে । সেই বাবা মায়ের মনের আনন্দ তার ছেলে তার দেখাশোনা করছে , এটি হয়ত তাদের কাছে করোনা চেয়েও অনেক বেশি শান্তি। কথা বলছি, সেই ছোট্ট নবজাতক শিশুর কথা যে তার বাবা-মায়ের চাকুরী রত ব্যস্ততার কারণে অন্যের কাছে পালিত হয় । করোনার কারণে সে এখন বাবা-মায়ের আঁচলে একটু সুখের মুহূর্ত কাটাচ্ছে। তার কাছে এর চেয়ে মধুর কি হতে পারে । যেখানে একবেলা আহার করার সময় হত না, সেখানে এই করোনা তিনবেলা একসাথে আহার করার জন্য বাধ্য করেছে ,এতে সুখে দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে পারছে । বর্তমানে 4G র যুগে এই করোনা আমাদের সেই ১৯শতকের মনোভাব এনে দিচ্ছে ।কত গাছ কাটা পড়ত , কিন্তু এখন আর গাছকে কষ্ট পেতে হয়না । এগুলো আর যাই হোক আমার নজর কেড়েছে।কথা বলছি সেই সব দূর ঘটনার কথা - কিন্তু এখন কষ্ট নব্বই ভাগ কমেছে । আগে বিকেল হলে মাঠে খেলাধুলার হৈচৈ পাওয়া যেত না, কিন্তু বর্তমানে ছেলে সবাইকে মাঠে সময় কাটাতে ভাবিয়ে তুলেছে। বাইরের জায়গা ভ্রমণ আপাতত বন্ধ করেছে , এতে করে বাড়ির পাশের জমিতে ধান গুলো একে অপরের সঙ্গে কিভাবে ঝুলে আছে তা দেখার সময় করে দিয়েছে , শুরু একটু মন খুলে দেখতে হবে তাহলে এর অর্থ বোঝা যাবে ।