welcome to skitto forum
a place for all things skitto

কোরিয়ানরা কিভাবে করোনা থেকে বাচল?

নাদিম.by: নাদিম.
April 3, 2020 5:16AM
Member

বিশ্বের ১২১টি দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় সাহায্য করার অনুরোধ করেছে। 

অনেকেই অবাক হচ্ছে কিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া করোনাকে পরাজিত করল?

কোরিয়ানরা খুবই পরিমিতিবোধ ও মার্জিত স্বভাবের।

কোরিয়ান উন্নয়ন কিংবা জাতীয় সমস্যায় ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধারা হইল শিক্ষক ও গবেষক সম্প্রদায়। পলিসি মূলত তারাই করে সরকারকে দেয়। বাস্তবায়নটা সরকার করে। 

দেশীটির সিংহভাগ মানুষ ধর্মহীন হলেও একজন শিক্ষককে ওরা ঈশ্বর মানে। ওদের স্বপ্নের শীর্ষ থাকে শিক্ষক হওয়া। 

এরা আমাদের মত বিসিএস পাগলা না।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জ্ঞান তৈরি ও বিতরণ করে। আমাদের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোচিং সেন্টার নয়।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে গেলে পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল অভিজ্ঞতা ও বিশ্বখ্যাত জার্নালে গবেষণাপত্র থাকা হচ্ছে মিনিমাম যোগ্যতা। তারপরে প্রতিযোগিতা। 

আর আমাদের এখানে প্রাইমারী শিক্ষকও মাস্টার্স, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও মাস্টার্স। 

দক্ষিণ কোরিয়া গবেষণায় ব্যয় করে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা মিলেও ৬০ মিলিয়ন হয় না। 

বলা হয়ে থাকে সিউল বিক্রি করে সারা কানাডা ক্রয় করা যাবে। 

সিউলের মত আন্ডার গ্রাউন্ড কয়েক তলা যোগাযোগ ব্যবস্থা এই বিশ্বের আর কোথাও নেই। সারা দেশটি ফটোজনিক।  

যেখানে সারা বিশ্ব করোনার কাছে পরাজিত, কোরিয়ার স্বাস্থ্য-কর্মীরা খুব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছে। চীনের পরেই বেশি আক্রান্ত হয়েছিল কোরিয়াতে। শতভাগ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

জনসংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা কোরিয়াই  করেছে। মৃত্যুহার ১% এবং এটি সর্বনিম্ম রেকর্ড (খুব সম্ভবত)। 

চাইনিজদের মত তাদের পরিসংখ্যান নিয়েও ঝামেলা নেই। চাইনিজ কিটের শুদ্ধতা অনেক ক্ষেত্রে ৩৫%, কোরিয়ান কিট সেখানে প্রায় শতভাগ। 

আমাদের রয়েছে একটি গবেষণাগার (আইইডিসিআর)। কোরিয়ার রয়েছে ১১৮টি সরকারী গবেষণাগার। 

অথচ লোক সংখ্যা আমাদের তিনভাগের একভাগের চেয়েও কম। 

বাংলাদেশ সরকারের উচিত চীনের সাথে লুটুর ফুটুর কমিয়ে কোরিয়ার সাহায্য নেওয়া। 

কোরিয়ানরা যতটা না ব্যবসায়ী, তার কয়েকগুণ বেশি মানবিক।

ওরা সত্যি মহান।