সাম্প্রদায়িক উস্কানী নয়; মেয়েদের সতর্ক করাই আমাদের লক্ষ্য।
বর্তামান জেনারেশনের মাঝে ফ্রি মিক্সিং বেড়েছে। বেড়েছে হারাম রিলেশন থেকে শুরু করে জিনা, ধর্ষণ পরকীয়া।
এখন এসব সম্পর্ক কেবল নিজ ধর্মীয় লোকদের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই৷ উদার মনমানসিকতার নামে বর্তমান সময়ে তরুন প্রজন্ম সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ছে ভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে।
মেয়েটার সহপাঠী অমুসলিম। শুরুটা বন্ধত্ব দিয়ে। ধীরে ধীরে বহুদূর সম্পর্ক গড়ায়। একসময় অমুসলিম বন্ধুটির হাতে হয়তো হচ্ছ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ কিংবা মুসলিম হয়ে যাবার নামে বিয়ে করে হচ্ছে প্রতারণার শিকার।
ইসলাম অন্য ধর্মের লোকদের বিয়ে করা জায়েয করেনি। কোনো ছেলে আপনাকে ভালোবেসে দ্বীনের ফিরতে চায়৷ আপনি ভাবছেন এতে মন্দ কী? একজন মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আসবে।
কী নির্বোধ বোকা আপনি? বান্দা তার রব'এর কাছে আসবে৷ তার জন্য আপনাকেই তাকে বিয়ে করতে হবে কেন? আপনি কি নিশ্চিত পরবর্তীতে তার ধোঁকা খাবেন না? আপনি নিশ্চিত সে আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে না?
আপনার ইসলাম অন্য পুরুষের সাথে কথা বলা জায়েয করেনি। আপনার শুরুটাই তো অবৈধ।
আপনার বন্ধুটির কাছে তার ধর্ম ভালে লাগে না৷ সে আপনাকে বলে আপনার ধর্ম শ্রেষ্ঠ সে যদি প্রকৃত পক্ষে ইসলাম গ্রহণ করতেই চায়; তবে তাকে আপনি নয়; বরং কোনো পুরুষের সাথে কথা বলতে বলুন।
আপনার ভার্সিটি কিংবা আপনি যে পরিবেশে বাস করেন; সেখানে অনেক পুরুষ আছে। অনেক আলেম আছে, সে সবাইকে ফেলে কেবল আপনাকেই কেন বেছে নিয়েছে? বুঝে নিন নিশ্চিত এখানেও কোনে ষড়যন্ত্র আছে। তাহলে চলুন বলি সে ষড়যন্ত্রের কথা।
ভারতে লাভ জিহাদ নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে৷ হিন্দু মেয়েরা মুসলিম ছেলেদের বিয়ে করে ধর্ম পরিবর্তন করছে৷ এটাকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না৷ তাই তারাও বসে নেই। আবিষ্কার করেছে ভিন্ন পথ। তাদের টার্গেট এখন মুসলিম মেয়েরা। তাদের জীবন নরক বানানো৷ মুসলিম মেয়েরা ধর্ম পরিবর্তন করবে না তারা সেটা জানে৷ তাই তারাই ধর্ম পরিবর্তনের নাটক করে আপনাকে করবে সর্বশান্ত।
হে উম্মার বোনেরা!
তোমার জন্য অন্য পুরুষের সাথে বন্ধুত্ব করা জায়েয নেই। হোক সে মুসলিম কিংবা অমুসলিম।
এদের টার্গেট যেমন নিম্ন পরিবারের মায়ে কিংবা শ্রমজীবী মানুষ। তেমন করেই টার্গেটে রয়েছে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির মেয়েরা।
আমাদের দায়িত্ব বলে দেওয়া। সাবধান করা। বাকি সিদ্ধান্ত আপনার।